সরকার রাজীব, ঢাকাঃ রাজধানীর মহাখালীতে সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার পর মহাখালী সাততলা বাউন্ডারি বস্তিতে (বিএমআরসি ভবনের সামনে) আগুন লাগার খবর পায় তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। পরে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আরও ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাততলা বস্তিতে আগুন লাগায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে বস্তির বাসিন্দারা ঘরের দামি মালামাল বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) ভবনের সামনের রাস্তায় সরিয়ে আনে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। তবে প্রায় শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বস্তিতে আধাপাকা টিনের ঘর হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। বস্তির ভেতরের কিছু পরিবার ঘর থেকে তাদের মালামাল বের করতে পারেনি।
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এখানে আগুন লেগেছে। ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ও ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর এবং ২০২১ সালের ৭ জুন এই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের দুর্বল তারের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতি সপ্তাহেই আগুন লাগে সেখানে। এই আগুনে প্রতিবারই বস্তিবাসী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। তারা আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বিশ্বাস করতে চায় না। তাদের দাবি, এসবের সঙ্গে রয়েছে দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারের।